বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৫ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
নবীগঞ্জের রাস্তাবিহীন এক স্কুল!

নবীগঞ্জের রাস্তাবিহীন এক স্কুল!

জাবেদ ইকবাল তালুকদার, নবীগঞ্জ থেকে : হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার নবীগঞ্জ পৌরসভার নহরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভবন আছে শিক্ষার্থী আছে, শিক্ষকও আছেন। কিন্তু নেই শুধু স্কুলে আসা-যাওয়া রাস্তা। আসা-যাওয়ার রাস্তা না থাকায়  শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ স্কুল সংলগ্ন কয়েকটি পরিবারকে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে প্রতিদিন। যার প্রভাবে ওই স্কুল খুললে বৃস্টির মৌসুমে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম থাকার সম্ভাবনা থেকে যায়।
সরজমিনে স্কুলটি ঘুরে জানা যায়, নহরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯২৯ সালে প্রতিষ্ঠা হলেও স্কুল প্রতিষ্ঠাতারা স্কুলে যাওয়ার জন্য কোন রাস্তা করে যাননি। যার কারনে স্বাধিনতার ৪৯ বসৎর পরেও যাওয়া-আসার জন্য স্কুলের কোন রাস্তা নেই। স্কুলের পাশের জমির আইল দিয়েই যাতায়াত করছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা।  জমিটি নিছু হওয়ায় সামান্য বৃষ্টি হলেই জমি ডুবে যায় এবং পায়ে চলাচলের রাস্তাটিও পানির নীচে তলিয়ে যায়। যার ফলে বৃস্টিপাতের মৌসুমে পায়ে চলাচলের ধানি জমিটুকু ডুবে যায় তখন মনে হয় স্কুলটি যেন নদীতে ভাসছে।
এ ব্যাপারে স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাথে এ প্রতিবেদকের কথা হলে তারা জানান, স্কুল চলাকালীন সময় স্কুলে যেতে কাপড় চোপড় ভিজে গেলেও বই বাঁচিয়ে ধানী জমি পার হয়ে স্কুলে যেতে হয়। আবার যখন পানি বেশি হয় তখন অনেক পথ ঘুরে যেতে হয়।
বিদ্যালয়টির পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো.চুন্নু মিয়া বলেন, স্কুলটি খনকারি পাড়া আঞ্চলিক পাকা সড়ক থেকে মাত্র ১০০ গজ দূরে অবস্থিত হলেও শিক্ষার্থীদের রাস্তার সাথে সংযুক্ত কয়েকজনের ধানী জমি পার হয়ে স্কুলে যেতে হয়। আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে কয়েকবার চেষ্টা করলেও জমির মালিকদের রাস্তার ব্যপারে এক করতে না পারায় রাস্তাটি করা সম্ভব হয়নি। বৃষ্টির মৌসুমে ওই ধানি জমি পানিতে তলিয়ে গেলে পানিতে ভিজে স্কুলে যেতে হয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। রাস্তাটি কোনভাবে করা সম্ভব কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন : স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতা পেলে রাস্তাটি করা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শিপ্রা নাথ বলেন, আমি বছর খানেক হলো এই স্কুলে এসেছি এর আগের প্রধান শিক্ষকও রাস্তাটি করার জন্য চেষ্টা করেছে। আমি রাস্তাটি করার জন্য স্থানীয় মেয়র মহোদয়ের মাধ্যমে স্থানীয় জমির মালিকদের নিয়ে রাস্তা করার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু সফল হতে পারিনি। একটি রাস্তা না থাকায় বর্ষার সময় শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ শিক্ষকদের সীমাহীন কষ্ট করতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ওর্য়াড কাউন্সিলর মোঃ কবির মিয়া বলেন, রাস্তাটি নির্মাণের জন্য আমি আমার পৌর মেয়র মহোদয় সহ বেশ কয়েকবার চেষ্ঠা করলেও জমির মালিকদের অসহযোগিতার জন্য এই রাস্তাটি করতে পারিনি।
নবীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার কাজী সাইফুল ইসলাম  বলেন, রাস্তার বিষয়টি আমাদের না। রাস্তার ব্যাপারে স্থানীয় ওর্য়াড কাউন্সিলর ও মেয়রের মহোদয় সহ সংশ্লিষ্ট দফতরের সাথে যোগাযোগ করে রাস্তাটি  করতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি প্রধান শিক্ষককে সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলে জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।