শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫২ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
ধরা পড়ার পর আকবর যা যা বললো

ধরা পড়ার পর আকবর যা যা বললো

দর্পণ ডেস্ক : সিলেটের কানাইঘাট সীমান্তে ধরা পড়া বরখাস্ত এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়ার দুটি ভিডিও ফেসবুকে প্রকাশ হয়েছে। একটিতে দেখা যায়, কয়েকজন যুবক ঘিরে ধরে বারবার তাকে জেরা করছেন।

গত ১১ অক্টোবর সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান আহমদকে হত্যার অভিযোগ ওঠার প্রায় এক মাস পর প্রধান আসামি আকবর ধরা পড়েন।

আকবরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ফাঁড়িতে এক জনকে আটক করে ১০ হাজার টাকা না পেয়ে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রকাশিত ভিডিওটিতে দেখা যায়, একটি পাহাড়ি ছড়ায় পাথরের উপর আকবর হোসেনকে বসিয়ে রেখে হাত-পা বাঁধছেন কয়েকজন যুবক।

এ সময় চারপাশ ঘিরে রাখেন স্থানীয় কিছু মানুষ। তার পায়ে রশি বাঁধা ছিল। সেই বাঁধন খুলে আকবরের বাহু বাঁধছিলেন যুবকরা।

তখন আকবর হোসেন হাতজোড় করে কাঁদছিলেন। না বাঁধার জন্য অনুরোধও করছিলেন।

এসময় একজন বলেন, ‘নাম কিতা, ওই নাম কী তোমার?’

‘আকবর’- জবাব দেন রায়হান হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত।

পাশের একজন বলেন, ‘এটা পুলিশ। রায়হানরে মারছে।’

তখন একজন জিজ্ঞেস করেন, ‘তুমি মারবার অধিকার পাইলা কই?’

আকবর বলেন, ‘আমি সাথে সাথে হাসপাতালে পাঠাইছি।’

আরেকজন বলেন, ‘১০ হাজারের লাগি তোরা মানুষ মারস রে।’

এ সময় হাতজোর করে আকবর বলেন, ‘আমি মারি নাই ভাই, আমি মারি নাই।’

‘আমি বাঁচব না’-বলেও আকুতি মিনতি করছিলেন আকবর।

আড়াই মিনিটের ভিডিওর শেষ দিকে রায়হানের হাত-পা বেঁধে পাহাড়ি ছড়া দিয়ে তাকে হাঁটিয়ে নিয়ে আসতে দেখা যায়।

দ্বিতীয় ভিডিও

কিছুক্ষণ পর ফেসবুকে আরও একটি ভিডিও প্রকাশ হয়। সেখানে দেখা যায়, দাঁড় করিয়ে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে আকবরকে।

তিনি বলেন, ‘আমি খুনি না, আমি ইচ্ছা করে আমি একা মারিনি। ইচ্ছা করে একা মারিনি। মাইর দিছিল পাঁচ ছয় জন। এ জন্য মরে গেছে ভাই।’

কে?-জিজ্ঞেস করেন একজন

আকবর জবাব দেন, ‘একটা ছেলে।’

বয়স কত হয়েছে ছেলের- প্রশ্ন।

‘৩২ হবে’-বলেন আকবর।

সে কিতা করছে- প্রশ্ন।

আকবর বলেন, ‘ছিনতাই করছিল, ছিনতাই।’

কিসের ছিনতাই করছিল-প্রশ্ন

আকবর বলেন, ‘টাকা ছিনতাই করছিল।’

তোরা জান ছিনিয়ে নিছিস- এসআই আকবরকে বলেন একজন।

আকবর বলেন, ‘আমরা জান নেই নাই। আমরা হাসপাতালে নিয়েছি। পাবলিক মারছিল, আমরা হাসপাতালে নিয়েছি। কিন্তু ওখান থেকে মরে গেছে।’

তুমি হাসপাতাল নিয়া গেছ। তাইলে কিতার লাগি তুমি ভাগছে- প্রশ্ন।

আকবর বলেন, ‘আমি ভাগছি যে সাসপেন্ট (বরখাস্ত) করছে, অ্যারেস্ট করতে পারে। সিনিয়ররা বলেছে যে, দুই মাস পর ঠান্ডা হয়ে যাবে, দুই মাস পর ঠান্ডা হয়ে গেলে আবার গেলে এটা হ্যান্ডেল করা যাবে। আমি অন্য কোনো কারণে ভাগি নাই।’

‘আমরা জান নেই নাই।’

এর লাগি তো ভাগছ- আবার মন্তব্য করেন একজন।

আকবর বলেন, ‘আমার সিনিয়র অফিসার বলছিল, আপাতত চলি যাও, কয়দিন পরে আইস। দুই মাস পরে মোটামুটি একটু ঠান্ডা হয়ে যাবে।

ইন্ডিয়া কেমনে আসছ- প্রশ্ন।

আকবর বলেন, ‘ইন্ডিয়া একটা পরিবার আছে। বলছিল, যে গেলে এখানে থাকার জায়গা পাবে। মাঝের গাঁও এখানে, ভোলাগঞ্জ। ’

এদিকে আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায় আকবর ভারতীয়দের মতো হিন্দিতে কথা বলছেন। সেখানে তিনি বলেন, এক রিমান্ডে আসামিকে মারছি। আমি একা মারিনি। আরও ৬/৭জন ছিলো।

এসময় একজন আকবরের দিতে তেড়ে গেলে তিনি ভয় পেয়ে বললেন, ভাই আমি ঠিক বলছি, ঠিক বলছি। আমিও মারছি।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।