শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:১১ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
জয়ের জন্য ভালোবাসা – ড.সেলিম মাহমুদ

জয়ের জন্য ভালোবাসা – ড.সেলিম মাহমুদ

জয়ের জন্য ভালোবাসা – ড. সেলিম মাহমুদ

সজীব ওয়াজেদ জয়ের বাল্যকাল থেকেই মা শেখ হাসিনা অত্যন্ত সতর্কভাবে তাকে ক্ষমতার বাইরে রেখেছিলেন। উন্নয়নশীল বিশ্বের প্রেক্ষাপটে এটি ছিল এক কঠিন কাজ। সজীব ওয়াজেদ জয়সহ জাতির পিতার সব দৌহিত্র-দৌহিত্রীই ক্ষমতার বাইরে থাকতে পছন্দ করেন। বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের জন্য এটি এক অসাধারণ অনুকরণীয় শিক্ষা।

শুভ জন্মদিন জাতির পিতার দৌহিত্র, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার জ্যেষ্ঠ সন্তান এবং ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের নেতৃত্ব সজীব ওয়াজেদ জয়! ইতোমধ্যে তিনি তার নেতৃত্বের যোগ্যতা, মেধা ও দূরদর্শিতার প্রমাণ রেখেছেন।

সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল বাংলাদেশের স্রষ্টা। বাংলাদেশে তারুণ্যের নেতৃত্বের বিকাশ, তাদের স্বপ্ন দেখানো, তাদের কর্মসংস্থান, তারুণ্যে উদ্যোক্তা নির্মাণে উদ্বুদ্ধকরণ, প্রযুক্তি উন্নয়নে সহায়তা, শিল্পায়ন-গবেষণা ইত্যাদি বিষয়ে তার অসাধারণ অবদান রয়েছে। উন্নয়নশীল বিশ্বে তিনিই একমাত্র মেধাবী নেতৃত্ব যিনি তার দেশকে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য প্রস্তুত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।

একটি কথা বিশেষভাবে উল্লেখ্য, তিনি তার মেধা-যোগ্যতা, বহুমাত্রিক অভিজ্ঞতা, দূরদর্শিতা, ব্যক্তিত্ব, সততা, দেশপ্রেমের কারণে ইতোমধ্যে নিজেকে বিশ্বমানের একজন নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সমর্থ হয়েছেন। জাতির পিতার স্বাধীনতা ঘোষণার পর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে অবরুদ্ধ ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠকন্যা শেখ হাসিনার গর্ভে জন্ম নেয়া, মাতামহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান থেকে তার নামকরণ এবং শৈশবে মাতামহের সান্নিধ্যলাভ- এসব কারণে ছাত্রজীবন থেকেই সজীব ওয়াজেদ জয় নামটি আমার কাছে একটা ‘বিস্ময়’ মনে হয় । এই নামের সঙ্গে আমাদের আবেগ জড়িত- আমাদের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা জড়িত।

পঁচাত্তরে শতাব্দীর নিষ্ঠুরতম হত্যাকাণ্ডে সপরিবারে বাঙালি জাতির পিতা নিহত হন । ওই সময় মা শেখ হাসিনা এবং খালা শেখ রেহানার সঙ্গে বিদেশে অবস্থান করে সৌভাগ্যক্রমে মা-খালার সঙ্গে প্রাণে বেঁচে যান সজীব ওয়াজেদ জয়। সর্বশক্তিমান আল্লাহ পৃথিবীকে এক বিস্ময়কর নেতৃত্ব দেখানোর জন্য সেদিন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। আর তার নেতৃত্বের যোগ্য উত্তরসূরি প্রস্তুত রাখতেই সজীব ওয়াজেদ জয়কেও পঁচাত্তরে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন।

সজীব ওয়াজেদ জয়ের সংগ্রামী জীবনের গল্প আমি প্রথম শুনেছিলাম তার মা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কাছে ১৯৯৪ সালে। একদিন সন্ধ্যায় ২৯ মিন্টো রোডে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতার সরকারি বাসভবনে শেখ হাসিনা আমাকে তার অনেক গল্প করেছিলেন। সজীব ওয়াজেদ জয়ের বাল্যকাল থেকেই মা শেখ হাসিনা অত্যন্ত সতর্কভাবে তাকে ক্ষমতার বাইরে রেখেছিলেন। উন্নয়নশীল বিশ্বের প্রেক্ষাপটে এটি ছিল এক কঠিন কাজ। সজীব ওয়াজেদ জয়সহ জাতির পিতার সব দৌহিত্র-দৌহিত্রীই ক্ষমতার বাইরে থাকতে পছন্দ করেন। বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের জন্য এটি এক অসাধারণ অনুকরণীয় শিক্ষা।

আমি যুক্তরাজ্যে পিএইচডি গবেষণাকালে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে আমার টেলিফোনে কথা হতো। দেশের অনেক বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করতাম।

আলোচনায় সবসময়ই বাংলাদেশ নিয়ে তার চিন্তা-চেতনা ও স্বপ্নের কথা উঠে আসত। এক-এগারোর সরকারের সময় ‘সজীব ওয়াজেদ জয়’ নামে তার পরিচালিত ব্লগে আমি নিয়মিত লিখতাম। কোন লেখা তার ব্লগে পাবলিশ করা হবে- এটি তিনিই ঠিক করতেন।

আমার প্রতিটা লেখাই তিনি পাবলিশ করতেন। যেসব ব্যক্তি ওয়ান ইলেভেন সংঘটিত করেছিল, তাদের প্রতিনিধিরা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ব্লগটির ওপর নজরদারি করত।

তাদের কিছু মন্তব্যে আমরা সেটি বুঝতে পারতাম। মা শেখ হাসিনা কারান্তরীণ থাকা অবস্থায়ও তিনি ওই সময়ে এক-এগারোর সরকারের বিরুদ্ধে অনেক সাহসী লেখা লিখেছিলেন। তার মধ্যে আমি দেখেছিলাম নানা আর মায়ের সাহস। ওই সময়ে আমিও বেশ কয়েকটি সাহসী লেখা লিখেছিলাম।

আমার এখনও মনে আছে, যেদিন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা কারান্তরীণ অবস্থা থেকে মুক্তি পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ঢাকা থেকে রওনা দিচ্ছিলেন, ওইদিন আমি সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের পরিস্হিতি নিয়ে যুক্তরাজ্য থেকে কথা বলেছি।

বিশ্বে সমকালীন রাজনীতিবিদদের মধ্যে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রিপ্রাপ্ত ও সুশিক্ষিত, চৌকস এবং প্রযুক্তিজ্ঞানসহ বহুমাত্রিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সংখ্যা কমই আছে। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব সজীব ওয়াজেদ জয়সহ বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র-দৌহিত্রীদের হাতেই নিরাপদ।

ড. সেলিম মাহমুদ
২৭ জুলাই, ২০২১

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।