বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৫ পূর্বাহ্ন
দর্পণ ডেস্ক : সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক নবজাতক কন্যা শিশুকে রেখে পালিয়েছেন কিশোরী মা ও নানী। শনিবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে এই ঘটনাটি ঘটেছে। নবজাতকটি বর্তমানে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাশিয়া বেগম নামের এক নারীর তত্বাবধানে রয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেলে সাদিয়া বেগম (১৬) নামের এক কিশোরীকে তার মা কলকলিয়া ইউনিয়নের বালিকান্দি গ্রামের ফারুক মিয়ার স্ত্রী পরিচয়ে উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। এসময় কিশোরীর মা চিকিৎসকদের জানান তার মেয়ের দুদিন থেকে হঠাৎ করে পেট ফুলে যাচ্ছে। তখন জরুরি বিভাগ থেকে ওই কিশোরীকে ভর্তি করানো হয়। ভর্তির পর কর্মরত নার্সরা দেখতে পান কিশোরী গর্ভবতী। কিছুক্ষণ পর ফুটফুটে এক কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। জন্মের পর নবজাতককে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। এক পর্যায়ে মা ও নানী সন্ধ্যার দিকে হাসপাতালের সিঁড়ির ওপর শিশুটিকে রেখে পালিয়ে যায়। পরে রাশিয়া বেগম (৫০) নামের এক নারী নবজাতককে হাসপাতালের সিঁড়ির ওপর দেখতে পেয়ে কর্তৃপক্ষকে জানান।
আলাপকালে রাশিয়া বেগম বলেন, ‘৪দিন আগে আমার নাতিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসি। এশার আযানের সময় আমি শিশুটিকে সিঁড়ির ওপর দেখতে পেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এখন আমি হাসপাতালেই শিশুটির যত্ন করছি।’
ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. শারমিন আরা আশা জানান, শনিবার বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ও নার্সদের তত্ত্বাবধানে নরমাল ডেলিভারি হয়। শিশুটি ভর্তি রেখে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছিল। কোনো এক সুযোগে শিশুটিকে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় শিশুটির অভিভাবকরা। অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে বিষয়টি জগন্নাথপুর থানা পুলিশকে অবগত করা হয়। পুলিশ এখনো আমাদেরকে কোনো সন্ধান দিতে পারেনি। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশুটিকে লালন-পালন করা হচ্ছে। শিশুটি সুস্থ রয়েছে।’
কলকলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল হাশিম জানান, বালিকান্দি গ্রামে খোঁজ করে তাদের কোনো অসিত্ব পাওয়া যায়নি। মনে হয় হাসপাতালে ভুল তথ্য দিয়ে ভর্তি হয়েছে।’
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘শিশুটির বাবা-মায়ের পরিচয় শনাক্তে কাজ করছি। এখানো সন্ধান পাওয়া যায়নি।’
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।