বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪৩ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
জগন্নাথপুরে ধর্ষণের অভিযোগে বাবুল দাসে বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

জগন্নাথপুরে ধর্ষণের অভিযোগে বাবুল দাসে বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

দর্পণ ডেস্ক : সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের কলকলিয়া গ্রামের লালু দাসের ষোড়শী কন্যাকে ধর্ষনের অভিযোগে সুনামগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধর্ষিতার ভাই জনি দাস বাদী হয়ে একই গ্রামের মলয় দাসের ছেলে বাবুল দাস (২০)কে প্রধান আসামী করে ৪জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়।
মামলা অভিযোগে জানা যায়, বৃদ্ধ বাবা ও দুই নাবালিকা বোনকে নিয়ে জনি দাসের পরিবার। কাজের জন্য জনি দাস প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বাহিরে থাকতে হয়। এ সুযোগে তার নাবালিকা বোনের সঙ্গে কৌশলে একই গ্রামের মলয় দাসের পুত্র বাবুল দাস প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। এক পর্যায়ে ২০১৯ সালের ৩ নভেম্বর দুপুর অনুমান ১২ ঘটিকার সময় জনি দাসের ঘরে প্রবেশ করে তার বোনকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধ শারিরীক সম্পর্কে কুপ্রস্তাব দেয় বাবুল দাস। আর তাতে আপত্তি জানায় জনি দাসের বোন । কিন্তু অসম্মতি জানানোর পরও বাবুল দাস তাকে ফুসলিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ওই দিন থেকে প্রায় সময় বাবুল দাস তার সাথে সবার অগোচরে শারীরিক ভাবে মিলিত হত। যার কারনে এক পর্যায়ে তার গর্ভ সঞ্চার হয়। গর্ভ সঞ্চারের বিষয়ে বাবুল দাসকে জানালে সে দ্রুত তাকে বিবাহ করে তার ঘরে উঠাইয়া নিবে বলে অঙ্গিকার করে। এরই মধ্যে জনি দাসের নাবালিকা বোন তিন মাসের গর্ভবতী হয়ে পড়লে চলতি বছরের ৬ মার্চ সকাল ১১টায় ডাক্তার দেখানোর কথা বলে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিয়ে তার বোনের গর্ভের সন্তান নষ্ট করে পেলে বাবুল দাস। ওই দিন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে একখানা কাগজে জোরপূর্বক বাদীর বোন ধর্ষিতার স্বাক্ষর নেয়া হয় এবং ঐ কাগজে বাবুল দাস স্বাক্ষর করে। এ বিষয়ে প্রতিকারের চেষ্টা করলে বাবুল দাস ও তার সহযোগিরা মামলার বাদী জনি দাস ও তার ধর্ষিতা বোনকে হত্যার হুমকি প্রদান করে। ঐ দিন রাতে তার রক্তপাত শুরু হলে পরিবারের লোকজন বিষয়টি জেনে ফেলে। বিষয়টি পারিবারিকভাবে বিয়ের মাধ্যমে নিস্পত্তির লক্ষ্যে বাবুল দাসের পিতা মলয় দাসের নিকট গেলে তিনি জনি দাস ও তার বাবার কাছে ২ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করেন। আসামীগণ পরস্পর সহযোগী বলে তাঁকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ও তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ সহ প্রতারণামুলকভাবে গর্ভের সন্তান নষ্ট করে। চিকিৎসা কাজে ব্যস্ত থাকায় ও আপোষ মিমাংসায় বিবাহে ব্যর্থ হওয়ায় দেশে করোনা মহামারির কারণে লকডাউন জনিত সাধারণ ছুটি থাকায় অবশেষে গত ১৬ আগস্ট সুনামগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করেন ধর্ষিতার ভাই জনি দাস।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।