বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৯ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
ছাত্রের নির্মম আঘাতে শিক্ষকের করুণ মৃত্যু!

ছাত্রের নির্মম আঘাতে শিক্ষকের করুণ মৃত্যু!

নিউজ ডেস্ক ◾সাভারে ছাত্রের নির্মম আঘাতে গুরুতর আহত শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার (৩৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (২৭ শে জুন) ভোর সোয়া ৫টার দিকে সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে মারা গেছেন।

সকাল ৮ টার দিকে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন এনাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের ইনচার্জ ইউসুফ আলী।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিহত শিক্ষক উৎপল সরকার সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার এঙ্গেলদানি গ্রামের মৃত অজিত সরকারের ছেলে। তিনি প্রায় ১০ বছর ধরে আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকার হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের কলেজ শাখার রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক এবং শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থী একই প্রতিষ্ঠানের দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।গত শনিবার (২৫ জুন) দুপুর ২টার দিকে ওই স্কুল মাঠে শিক্ষককে স্ট্যাম্প দিয়ে বেধড়ক মারধর করে সে।

হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুল হাসান জানান, আমরা প্রতি বছর ছেলেদের ফুটবল ও মেয়েদের ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করি। এবারও এই আয়োজন করা হয়েছিলো। শনিবার মেয়েদের ক্রিকেট খেলা চলছিলো। এ সময় প্রতিষ্ঠানের দুই তলা ভবনের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছেলেরা খেলা দেখছিলো। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীও দুই তলায় খেলা দেখছিলো। সকাল থেকেই তার হাতে স্ট্যাম্পটি ছিলো বলে জানতে পেরেছি।

হঠাৎ সে দুই তলা থেকে নেমে মাঠের এক পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষক উৎপলকে স্ট্যাম্প দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। পরে আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।সেখানেই মারা যান ওই শিক্ষক।

নিহত শিক্ষক আমাদের প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। যে কারণে ছাত্রদের আচরণগত সমস্যা নিয়ে কাউন্সেলিং করতেন তিনি। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিচারও তিনিই করতেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, শিক্ষকের প্রতি ওই শিক্ষার্থীর কোনো ক্ষোভ ছিলো।

নিহতের ভাই অসীম কুমার সরকার বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি ওই শিক্ষার্থী মেয়েদের ইভটিজিংসহ নানা উচ্ছৃঙ্খল কাজ করতো। এ কারণে তাকে শাসন করায় আমার ভাইকে মেরে ফেলেছে। আমি প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে এর উপযুক্ত বিচার চাই।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক বলেন, নিহত শিক্ষক প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি থাকায় নিয়ম কানুন মানাতে শিক্ষার্থীদের শাসন করতেন। তিনি ওই শিক্ষার্থীকেও শাসন করায় এ ঘটনা ঘটেছে বেলে ধারণা করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে মামলা করেছেন। অভিযুক্তসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। আমরা তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।