শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০৭ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
ছাত্রলীগের ধর্ষণ ; কলেজ অধ্যক্ষ ও হোস্টেল সুপারের পদত্যাগের দাবি

ছাত্রলীগের ধর্ষণ ; কলেজ অধ্যক্ষ ও হোস্টেল সুপারের পদত্যাগের দাবি

দর্পণ ডেস্ক : সিলেটের ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজকে আবারো কালিমায় লেপে দিল ছাত্রলীগ। কলেজ ক্যাম্পাস থেকে এক তরুনীকে তুলে নিয়ে গণ ধর্ষণ করলো ছাত্রবাসে। শুক্রবার সন্ধায় এই ঘটনা ঘটার একদিন পর ধর্ষীতা তরুণীর স্বামী শনিবার সকালে শাহপরাণ থানায় একটি মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় মোট আসামী ৯ জন উল্লেখ করা হলেও ৩ জনকে অজ্ঞাত হিসেবে দেখানো হয়েছে। তবে, আসামীরা প্রত্যেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত। অপরদিকে অভিযুক্ত ধর্ষক সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে অস্ত্র আইনে আরো একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। শাহপরান থানার ওসি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার আসামীরা হলেন, এম. সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। এদের সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আসামীদের মধ্যে তারেক ও রবিউল বহিরাগত, বাকিরা এমসি কলেজের ছাত্র বলে মামলায় উল্লেখ রয়েছে।

এদিকে, এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের ঘটনায় সারা সিলেটে নিন্দার ঝড় উঠেছে। পবিত্র বিদ্যাপিঠে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় বাকরুদ্ধ কলেজের শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সকল শ্রেণীপেশার মানুষ। এই ঘটনার পর হোস্টেল সুপার ও কলেজ অধ্যক্ষের ব্যর্থতাকে দায়ি করে তাদের পদত্যাগ ঘোষণার দাবি উঠেছে। এমসি কলেজে পাঠদান বন্ধ হওয়ার সাথে সাথে কলেজ হোস্টেলও যেখানে বন্ধ থাকার কথা ,সেখানে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হোস্টেল চালু রাখার মধ্য দিয়ে কর্তৃপক্ষ তাদের দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন তাঁরা।

এদিকে, এই ঘটনার পর এক অনির্ধারিত বৈঠক থেকে শনিবার দুপুর ১২টার মধ্যে ছাত্রাবাস ছাড়ার নির্দেশনা দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হোস্টেল সুপার জামাল উদ্দিন।

ক্ষোভ প্রকাশ করে কলেজ শিক্ষার্থী মাহবুব আলম বলেন, করোনার সময়ে হোস্টেল বন্ধ থাকলেও ছাত্রাবাস চালু রাখার মাধ্যমে সরকার দলীয় ছাত্রলীগকে ক্ষমতা প্রদর্শনের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া, হোস্টেল সুপার ছাত্রলীগের চুরি , ছিনতাই ও চাঁদাবাজের ভাগ পেয়ে থাকেন বলেও মন্তব্য ওই শিক্ষার্থীর। এর আগেও এই কলেজের ছাত্রাবাস পুড়িয়ে ছাত্রলীগ নিজেদের দাপুটে অবস্থার জানান দিতে সমর্থ হয়েছিল। ক্ষোভের সাথে ওই শিক্ষার্থী বলেন, ছাত্রলীগের এই কুলাঙ্গারদের গড ফাদার রয়েছে নেপথ্যে। তাদের তথ্য বের করে জনসমক্ষে এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে হবে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ির এক তরুণী স্বামীকে সাথে নিয়ে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে বেড়াতে আসে। এসময় ছাত্রলীগকর্মী এম. সাইফুর রহমান ও শাহ মাহবুবুর রহমান রনির নেতৃত্বে স্বামী ও স্ত্রীকে পার্শ্ববর্তী কলেজ ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে যায় আসামীরা। পরে সেখানে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষন করে তারা। পরে ধর্ষনের শিকার তরুণীকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন অভিযুক্ত কাউকে আটক করতে পারেনি শাহপরান পুলিশ। তবে আসামী গ্রেফতারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে সিলেট আই নিউজকে জানিয়েছেন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।