দর্পণ ডেস্ক : ছাতক থানায় বর্তমান অফিসার ইনচার্জ হিসেবে যোগদান করেছেন সঞ্জুর মোরশেদ শাহীন। তিনি শাল্লা থানা থেকে এখানে যোগদান করেছেন।

তার যোগদানের আগ মুহুর্ত পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক সাড়া পড়ে। তিনি শাল্লা থাকা অবস্থায় চুর ও ডাকাতদেরকে কোটের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করিয়ে সুপথে নিয়ে এসেছেন এবং লেখা পড়ার জন্য তাদের সন্তানের হাতে বই খাতা, কলম তুলে দিয়েছিলেন অফিসার ইনচার্জ শাহীন।

২০১৪-১৫ ও ১৬ সালের কয়েক মাস পর্যন্ত ছাতক থানায় এসআই পদে তিনি দায়িত্বে ছিলেন। পরবর্তীতে ছাতক থেকে ওসি (তদন্ত) হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে যোগদান করেন মডেল থানা সুনামগঞ্জে।

অত্যন্ত চৌকস পুলিশ অফিসার হিসেবে তিনি ছাতকবাসীর প্রিয় হয়ে উঠেন। দীর্ঘ ৫ বছর পর এসআই থেকে পদোন্নতি নিয়ে সুনামগঞ্জের মডেল থানায় ওসি(তদন্ত) পরে শাল্লা থানায় তিনি প্রথম অফিসার ইনচার্জ হিসেবে যোগদান করেন। অফিসার ইনচার্জ হিসেবে চেয়ারে বসে তিনি ২ মাস ১০দিন শাল্লা থানায় কর্মরত ছিলেন। এ অল্প দিনে কয়েকটি গ্রামের মানুষকে অন্যায় কার্যক্রম থেকে মুখ ফিরিয়ে আনতে তিনি সক্ষম হয়েছেন এবং তার মাধ্যমে এলাকায় আলোর ছোঁয়া দেখেছিলো। তার এসব কার্যক্রমের সচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় সবার প্রশংসা পেয়েছিলেন। যাদের পেশা ছিল মদ তৈরি ও বিক্রয় করা, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই তাদেরকে সু-পরামর্শ দিয়ে অন্যায় পেশা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করেছেন এবং তাদের সন্তানদের লেখা পড়ায় উৎসাহ যুগিয়েছেন অফিসার ইনচার্জ সঞ্জুর মোরশেদ শাহীন।

অফিসার ইনচার্জের এমন মানবিক দৃষ্ঠান্ত দেখে স্বেচ্ছায় শাল্লা থানার বিভিন্ন ইউনিয়নের একাধিক মামলার আসামীরা তার কাছে আত্মসমর্পন করেছে। অফিসার ইনচার্জ সঞ্জুর মোরশেদ শাহীনের এমন মানবিকতায় মুগ্ধ পুলিশ ডিপার্টমেন্ট। তার মতো পুলিশ অফিসারদের মানবিক কার্যক্রমের কারণে পুলিশ প্রশাসনের উপর মানুষ খুশি।

এ ধারাবাহিকতায় সমাজের অবহেলিত, লাঞ্চিত-বঞ্চিত, নির্যাতিত মানুষের পক্ষে সর্বদায় ন্যায় বিচারে ভূমিকা রাখবেন এমনটাই প্রত্যাশা ছাতকবাসীর। সততা, ন্যায়নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে ছাতক থানাকে মাদক, জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস, জুয়া ও নদীকে চাঁদাবাজ মুক্ত করতে নবাগত অফিসার ইনচার্জ সঞ্জুর মোরশেদ শাহীন সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।