বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
কুলাউড়ায় কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতে মাঠে প্রশাসন

কুলাউড়ায় কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতে মাঠে প্রশাসন

দর্পণ ডেস্ক ;  মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ক‌রোনা আক্রান্তদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতে মাঠে নেমেছে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পুলিশ প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ রোধে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ও জেলা সিভিল সার্জনের নির্দেশে উপজেলা ও পৌর শহরের করোনা আক্রান্ত ১১ জনের বাসা-বাড়িতে গিয়ে কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ মার্চ থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত করোনা টেস্টের জন্য ৫২ জন নমুনা দেন। এর মধ্যে ১১ জনের রেজাল্ট পজেটিভ আসে। গত ৩১ মার্চ দেওয়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী মৌলভীবাজার জেলাজুড়ে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির হার সর্বোচ্চ হওয়ায় জেলা প্রশাসন ও জেলা সিভিল সার্জন সংক্রমণরোধে আক্রান্তদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত, জরুরি প্রতিষ্ঠান ছাড়া সকল ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে বন্ধ, সকল ধরণের সামাজিক অনুষ্ঠান ও গণজমায়েত বন্ধ, গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী বহন, মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ প্রদান করেন।

এই নির্দেশনানুযায়ী কুলাউড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. জাকির হোসেন, সমন্বয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের এবং প্রশাসনের একটি দল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উপজেলার পৌর এলাকাসহ জয়চণ্ডী, ব্রাহ্মণবাজার ও কাদিপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে আক্রান্তদের নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইন মেনে ঘরে থাকা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজরাতুন নাঈম, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর জসীম উদ্দিন ও কুলাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলামসহ থানা পুলিশের একটি দল।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী জানান, জেলা প্রশাসক মীর আহসান নাহিদের নির্দেশনায় এ পর্যন্ত উপজেলায় আক্রান্তদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া প্রশাসনের নির্দেশনানুযায়ী মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ সকল নির্দেশনা মেনে চলার জন্য উপজেলার প্রতিটি এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। এখন থেকে মাঠে প্রশাসনের নজরদারী থাকবে। যদি কেউ এই নির্দশনা অমান্য করেন তাহলে সংক্রমণ আইনের ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিকেলের দিকে উপজেলার সকল মসজিদের ইমামদের সঙ্গে আমরা বসব। তারা যাতে শুক্রবার জুম্মার নামাজে উপস্থিত মুসল্লিদের করোনা সংক্রমণরোধে সরকারের নির্দেশনাগুলো পালন করার জন্য সচেতন করেন, সেটা জানাবো।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।