শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০৩ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
কাদের মির্জার ডাকে কোম্পানীগঞ্জে হরতাল চলছে

কাদের মির্জার ডাকে কোম্পানীগঞ্জে হরতাল চলছে

দর্পণ ডেস্ক : নোয়াখালীর ডিসি, এসপি, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি ও ওসি তদন্তের প্রত্যাহার এবং কোম্পানীগঞ্জ চরকাঁকড়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম সবুজকে গ্রেপ্তারের দাবিতে ১২ ঘণ্টার বেশি থানা ঘেরাও করে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা। পাশাপাশি তাঁর ডাকে আজ বুধবার সকাল থেকে উপজেলায় হরতাল চলছে।

মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে আটটা থেকে তিনি থানা ঘেরাও কর্মসূচি শুরু করেন। সকাল থেকে শুরু হয়েছে হরতাল।

আজ সকাল সাড়ে নয়টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কয়েক শ নেতা-কর্মী নিয়ে কাদের মির্জা থানার ফটকে অবস্থান করছিলেন। হরতালের কারণে উপজেলার দোকানপাট সব বন্ধ আছে। কোনো যানবাহন কোম্পানীগঞ্জে ঢুকতে পারছে না।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যায় কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ফেনীর দাগনভূঞা ও চট্টগ্রামে তাঁর ওপর হামলা ও তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বসুরহাট রূপালী চত্বরে সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে তিনি ফেনীর সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী, নোয়াখালীর সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরীসহ দাগনভূঞা ও সোনাগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের অভিযুক্ত করেন।

এই সংবাদ সম্মেলন চলাকালে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কোম্পানীগঞ্জ চরকাঁকড়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী ফখরুল ইসলাম সবুজ টেকের বাজারে কাদের মির্জার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। প্রতিবাদ সমাবেশে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সবুজ কাদের মির্জার কঠোর সমালোচনা করেন। তাৎক্ষণিক স্থানীয় নেতা কর্মীরা সবুজকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

পরে আটক সবুজকে পুলিশ ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে সরকার দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে কাদের মির্জা থানার সামনে অবস্থান ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছে।

আবদুল কাদের মির্জার দাবি, দায়িত্বে অবহেলার জন্য নোয়াখালীর ডিসি খুরশেদ আলম খান, এসপি মো. আলমগীর, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি ও ওসি তদন্ত মো. রবিউল হকের প্রত্যাহার ও কোম্পানীগঞ্জ চরকাঁকড়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা (সন্ত্রাসী) ফখরুল ইসলাম সবুজ ও তার আশ্রয়দাতা মিজানুর রহমান বাদল ও ফখরুল ইসলাম রাহাতকে গ্রেপ্তার করা পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অবরোধ চলছে।

নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো.আলমগীর হোসেন বলেন, তিনি এ বিষয়ে অবগত আছেন। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।