বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৯:৪৭ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
করোনার ‘অজুহাতে’ মাদ্রাসা বন্ধ হলে মাঠে নামবে হেফাজত

করোনার ‘অজুহাতে’ মাদ্রাসা বন্ধ হলে মাঠে নামবে হেফাজত

দর্পণ ডেস্ক : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে সরকার নতুন করে ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়েছে। এই নির্দেশনায় দেশের সকলধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখাসহ সবধরনের ধর্মীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক সমাবেশ সীমিত রাখা, মসজিদসহ সব উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রার্থনা করার কথা বলা হয়েছে। তবে ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম করোনাভাইরাসের নামে সরকার আতঙ্ক ছড়াচ্ছে অভিযোগ এনে বলছে, করোনার ‘অজুহাতে’ মাদ্রাসা বা ধর্মীয় মাহফিল বন্ধের চেষ্টা হলে হেফাজতে ইসলাম মেনে নেবে না। এসব বন্ধ হলে হেফাজত ইসলাম আবার মাঠে নামবে।

শুক্রবার (২ এপ্রিল) জুমার নামাজের পররাজধানীর বায়তুল মোকাররমে পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি করে হেফাজতে ইসলাম, সেখানে এই হুঁশিয়ারি এসেছে সংগঠনটির পক্ষ থেকে। এছাড়া ২৬-২৮ মার্চ হেফাজতের বিক্ষোভের সময় ঢাকা, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নারায়ণগঞ্জে সংগঠিত তাণ্ডবের জন্য আওয়ামী লীগকেও দায়ী করেছে ধর্মভিত্তিক কট্টরপন্থি এই সংগঠন।

সমাবেশে সংগঠনের ঢাকা মহানগরী সভাপতি জুনায়েদ আল হাবিব বলে, ‘মোবাইলে কল করতে যাবেন করোনা, বাসে উঠতে যাবেন করোনা। করোনার অজুহাতে গত বছর আমাদের ঠিকমতো তারাবি পড়তে দেয়া হয় নাই। করোনা দিয়েছেন আল্লাহ, এর জন্য আল্লাহর কাছে বাধা চাইব। এর জন্য নামাজে বাধা দেয়া যাবে না।’

মাদ্রাসা বন্ধ করা যাবে না উল্লেখ করে এই হেফাজত নেতা বলেন, ‘আজকে করোনার অজুহাত দেখিয়ে মাদ্রাসাগুলো বন্ধের পাঁয়তারা চলছে। মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে কওমি মাদ্রাসা বন্ধের কোনো কথা নাই। পরিষ্কার ভাষায় বলবো যে ১৮টি শর্ত দেয়া হয়েছে এর মধ্যে কওমি মাদ্রাসার কথা নাই। কিন্তু কিছু অতি উৎসাহী প্রশাসন মাদ্রাসাগুলো বন্ধের পাঁয়তারা করছে।’

ওয়াজ মাহফিল বন্ধের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন ইসলামী সম্মেলন তারাবির নামাজ, মাদ্রাসা মসজিদে নামাজ বন্ধের পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না। করলে হেফাজত ইসলাম আবার মাঠে নামবে।

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেন,’২৬ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের ২০ জনকে শহীদ করেছে, সারাদেশে এখন আমাদের নেতাকর্মীদের নামে মামলা দেওয়া হচ্ছে, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’ হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা না হলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর আন্দোলন হবে বলে তিনি সরকারকে হুঁশিয়ার দেন তিনি।

এই বিক্ষোভ সমাবেশ ঘিরে সতর্ক অবস্থানে থাকে পুলিশ। মসজিদসহ আশপাশের এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। পুলিশের সতর্ক অবস্থানের কারণে কোনোধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।