শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১১:৪২ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তিঃ
আমাদের সিলেট দর্পণ  ২৪ পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে , আমাদেরকে আপনাদের পরামর্শ ও মতামত দিতে পারেন news@sylhetdorpon.com এই ই-মেইলে ।
একাধিক তরুণীর মৃতদেহে মুন্নার শুক্রাণু ; ধর্ষণ শেষে দিতেন অট্টহাসি

একাধিক তরুণীর মৃতদেহে মুন্নার শুক্রাণু ; ধর্ষণ শেষে দিতেন অট্টহাসি

দর্পণ ডেস্ক : হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য নেয়া নারীদের দু-তিন বছর ধরে ধর্ষণ করে আসছিল মুন্না ভগত। গ্রেফতার হওয়া এ তরুণ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গের ডোমের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।

শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ মো. রেজাউল হায়দার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন স্থান থেকে যেসব লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নেয়া হতো, সেসব লাশের মধ্য থেকে মৃত নারীদের ধর্ষণ করতো মুন্না।

একাধিক ধর্ষণে একই ব্যক্তির ডিএনএ!
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইড) ডিএনএ টেস্টে তরুণীদের মৃতদেহে শুক্রাণুর উপস্থিতি পাওয়ার পর চাঞ্চল্যের তৈরি হয়। আত্মহত্যাজনিত ঘটনায় উদ্ধার মৃত তরুণীদের দেহে শুক্রাণু উপস্থিতি কীভাবে সম্ভব? এ প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে তদন্ত ভিন্ন পথে গড়ায়।

কাফরুল ও মোহাম্মদপুর থানার কয়েকটি ঘটনা বিশ্লেষণ করতে দেখা যায় একাধিক মৃত তরুণীর শরীরে একই ব্যক্তির শুক্রাণু। এসব ঘটনায় ধর্ষণ শেষে হত্যা বা ধর্ষণ জনিত কারণে আত্মহত্যা সিআইডি প্রাথমিক প্রতীয়মান হচ্ছিল। এরপরেই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পশ্চিম বিভাগকে দায়িত্ব দেয়া হয়।

রাতে লাশ পাহারা দেয়ায় নিযুক্ত ডোমদের দিকে নজর রাখতে গিয়েই রহস্য উন্মোচিত হয়। সিআইডি প্রতিটি বিষয়কে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করতে দেখে যে, একই ব্যক্তি একাধিক মৃত তরুণীদের ওপর যৌন বিকৃত কাজ করা হচ্ছিল।

সূত্রের খবর, এখন পর্যন্ত অন্তত সাতজন তরুণীর মৃতদেহে ওই ডোমের শুক্রাণু পাওয়া গেছে। মাঝে মাঝে রাতে অনেকে আচমকাই তার অট্টহাসি শুনতে পেতেন। ধারণা করা হচ্ছে, সে মৃত নারীদের ধর্ষণ শেষে মর্গে বসেই হাসতেন!

যেভাবে ধর্ষণের বিষয়টির প্রমাণ মেলে
এরপর গোপনে-প্রকাশ্যে নজর রেখেই যাচ্ছিল পুলিশ। তারা একটা ব্যাপারে নিশ্চিত হয় যে রাতে লাশ পাহারা দিতে নিযুক্ত থাকা লোকদের ছাড়া বাইরের কারো পক্ষে মর্গে প্রবেশ করা সম্ভব না। এরপরই ডোমদের গতিবিধি নজরে আনে এবং মুন্না ভগত নামের ওই তরুণ চিহ্নিত হয়।

সন্দেহের ভিত্তিতে ওই নির্দিষ্ট হাসপাতালের ডোমদের গতিবিধি পর্যালোচনা করে তদন্তকারীরা। ওই তদন্তের সময় জানা যায় যে, হাসপাতালটির একজন ডোম পাঁচটি ঘটনার সময় ভুক্তভোগীর মরদেহ পাহারা দেয়ার জন্য রাতে মর্গে ছিল।

ডোম জতন কুমার লালের ভাগিনা মুন্না ভগত। তিনি মামার সঙ্গেই ওই হাসপাতালের মর্গে সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন। দুই-তিন বছর ধরে মুন্না মর্গে থাকা মৃত নারীদের ধর্ষণ করে আসছিল। এ অভিযোগের সত্যতা পেয়ে বৃহস্পতিবার তাকে আটক করে সিআইডি।

সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ মো. রেজাউল হায়দার বলেন, জঘন্যতম ও খুবই বিব্রতকর অভিযোগ। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতার পরই ওই যুবককে আটক করেছে সিআইডি।

নিউজটি শেয়ার করুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়..

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।