শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৩২ অপরাহ্ন
দর্পণ ডেস্ক : ঠাট্টাচ্ছলে নাকি পরিকল্পিতভাবে পেট্রলপাম্পকর্মী রিয়াদের গায়ে আগুন দেওয়া হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত নয় পুলিশ। তবে, পুলিশ ঘটনার সময় কার কী ভূমিকা ছিল তা নিশ্চিত হওয়ার কথা জানিয়েছে। এদিকে প্রধান আসামি ইমনের বাবা আবারো অভিযোগ করেছেন, আগুনে নয়, হাসপাতাল কর্মীর অবহেলাতেই মারা গেছে রিয়াদ।
পুলিশ বলছে, ২৪ নভেম্বর নাইট ডিউটি ছিল প্রধান তিন আসামির। রাত ৩টার দিকে সালাহউদ্দিন ফিলিং স্টেশনের ক্যাশিয়ার ফাহাদ আহমেদ পাভেল খণ্ডকালীন কর্মী রিয়াদকে বলেন আরেক কর্মী ইমনকে ঘুম থেকে ডেকে তুলতে। রিয়াদ ঠাট্টাচ্ছলে অকটেন ছিটিয়ে ইমনকে ঘুম থেকে জাগান। তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইমন পাল্টা রিয়াদের গায়ে অকটেন ছিটিয়ে দেশলাইয়ের জ্বলন্ত কাঠি ছুঁড়ে মারেন। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত শহিদুল ইসলাম রনির ভূমিকা কী ছিল তা নিশ্চিত নয় পুলিশ। এটাও নিশ্চিত নয় ঘটনাটি পরিকল্পিত নাকি তাৎক্ষণিক।
ওয়ারী জোনের ডিসি শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাটা ঘটেছিল। কিন্তু এ ঘটনার পরিণতি কত ভয়ঙ্কর হতে পারে সে বিষয়ে তাদের ধারণা ছিল কিনা সে বিষয়ে তাদের সাথে আমরা কথা বলবো।
প্রধান আসামি ইমনের মো. ইসমাইল হোসেন বাবার দাবি, তার ছেলের সাথে রিয়াদের বন্ধুত্ব ছিল। এমনকি এ বাসায় যাতায়াতও ছিল তার। রাজনৈতিক পরিচয়ে রিয়াদের বাবাকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন শ্যামপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের এ সভাপতি।
তবে রিয়াদের পরিবারের দাবি, আগুন দেওয়ার ঘটনা পরিকল্পিত।
প্রকৃত ঘটনা জানতে কারাগারে থাকা তিন আসামিকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।