বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩, ১১:২২ পূর্বাহ্ন
দর্পণ ডেস্ক : মায়ের মৃত্যুর খবর শুনেই স্বামীর বাড়ি থেকে দেখতে আসেন ছয় মেয়ে। মায়ের লাশ দেখেই আহাজারি শুরু করেন সবাই। চারপাশ যেন ভারি হতে থাকে। এ সময় মায়ের মৃত্যুশোকে অচেতন হয়ে মারা যান বড় মেয়ে স্বরজনি বালা (৫০) ও ছোট মেয়ে চৈতী রানী (৩০)।
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার চন্দনবাড়ি ইউনিয়নের খলিফাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই নারীর নাম পঞ্চমী বেওয়া। তিনি ৯০ বছর বয়সে বার্ধক্যজনিত জটিলতা নিয়ে মঙ্গলবার মারা যান। তিনি ছয় মেয়ে ও দুই ছেলের মা ছিলেন। তার বড় মেয়ে স্বরজনি বালা একই উপজেলার সাকোয়া ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া এলাকার সুশীল চন্দ্র রায়ের স্ত্রী। আর ছোট মেয়ে চৈতী রানী ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ফারাবাড়ি এলাকার পলাশ চন্দ্র রায়ের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মায়ের মৃত্যুর খবর শুনেই সকালে চলে আসেন ছয় মেয়ে। তারা দিনভর আহাজারি করেন। কেউ কোনো খাবার মুখেই দেননি সারাদিন। সন্ধ্যার খানিকটা আগে স্বামীর বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নেয়ার সময় বুকে ব্যথা অনুভব করে অচেতন হয়ে পড়েন চৈতী রানী। এ সময় মাইক্রোবাসে ছোট বোনকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাচ্ছিলেন বড় বোন। পথে তিনিও অচেতন হয়ে মারা যান।
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রাকিবুল আলম বলেন, দুই বোনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে।
পরিবারের অনেকেই বলছেন, চৈতী রানী ও স্বরজনি বালা হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। মায়ের মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে হার্টের সমস্যা থেকেই তারা মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।