শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৩৯ অপরাহ্ন
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি : নবীগঞ্জ পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মধ্য রাতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী সমর্থকদের মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত বিএনপিকর্মী সফিক মিয়ার (২২) ভুঁড়ি বের হয়ে গেছে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি চরগাঁও গ্রামের মন্নাফ মিয়ার পুত্র।
এ ছাড়া একই গ্রামের জব্বার মিয়ার পুত্র মিজান মিয়া (৩৫), নুর ইসলামের পুত্র নাহিদ মিয়া এবং সুজাপুর গ্রামের ছাত্রলীগ নেতা জাহেদ রুবেলসহ আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মধ্যরাত সোয়া ১টার দিকে গয়াহরি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে। বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের সংঘর্ষের পর নবীগঞ্জ পৌর এলাকার সর্বত্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে মেয়র প্রার্থী গোলাম রসুল চৌধুরী রাহেলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা মুকিত চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, গয়াহরি গ্রামে তিনি অবস্থান করছিলেন। এ সময় তারা খবর পান গয়া হরি প্রাইমারী বিদ্যালয়ের কাছে বিএনপির প্রার্থী ছাবির আহমেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে তার কর্মী সমর্থকরা আওয়ামী লীগ প্রার্থী রাহেল চৌধুরীর উপর হামলা ও তার গাড়ি ভাংচুর করেছে। এতে উভয় পক্ষের চারজন আহত হয়েছে।
অপর দিকে বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী ছাবির আহমেদ চৌধুরী জানান, তিনি গয়াহরি গ্রামে রবিন্দ্র দাশ মেলাইর বাড়িতে গতকাল রাতে সংক্রান্তির দাওয়াতের যান। সেখান থেকে ফেরার সময় ওই বাড়ির কাছে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী গোলাম রসুল চৌধুরী রাহেলের ভাই শায়েল চৌধুরীর সাথে দেখা হয়। এ সময় তার সাথে কুশল বিনিময় চলাকালে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রাহেল চৌধুরী সেখানে পৌছায়।
এ সময় রাহেল উত্তেজিত হয়ে ছাবির আহমেদ চৌধুরীর সাথে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তার দিকে তেড়ে আসেন। তিনি গাড়ি নিয়ে চলে যেতে চাইলে তাকে বাধা দেয়া হয়। এ সময় তার সমর্থক সফিক মিয়াকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে তার পেটের ভুঁড়ি বের হয়ে যায়।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।