বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন
এম এ রহিম, নবীগঞ্জ থেকেঃ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় অতিরিক্ত বিল নেয়ার অভিযোগ উঠেছে পল্লী বিদ্যুতের বিরুদ্ধে। এতে উপজেলার অধিকাংশ গ্রাহক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
অভিযোগ বিদ্যুৎ সরবরাহ আগের তুলনায় কিঞ্চিত উত্তরণ হলেও প্রকৃত সত্যকে আড়াল করে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার উর্ধ্বে থেকে মে মাসে মনগড়া ভৌতিক বিলের খড়গ চাপিয়ে নানামুখি ভোগান্তিসহ বিদ্যুৎ সমিতির বিরুদ্ধে।
জালালসাপ গ্রামের বাসিন্দা মো ইব্রাহিম মিয়া বলেন- ‘ফেব্রুয়ারি-মার্চ ও এপ্রিল এই তিন মাসের বিল যোগ করে তিন ভাগ করলে গড় বিল হয় ১৮০ টাকা অথচ মে মাসে অফিসে বসে গড় বিলের নামে আমার বিল করে দিয়েছেন ৬৮০ টাকা। একটা ধোঁকাবাজি। গড় বিলের নামে ডবল বিল করেছে।’
সঈদপুর বাজারের ব্যবসায়ী এস এম শাহেদ মিয়া বলেন, ২ মাস ২০ দিন দোকান বন্ধ রাখার পর বিদ্যুৎ বিল দুই মিটারে ১৭০০০ হাজার টাকা বিল আসে। পরে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করলে বিলের পরিমাণ ১১৮০০ টাকা দাবি করা হয়।
এদিকে কাজীগঞ্জ বাজারে আখলাকুর নামের টেইলার্স ব্যবসায়ী জানান উনার দোকান ও দুই মাস বন্ধ ছিলো কিন্তু বন্ধ থাকার পরও অাগের চাইতে তিনগুন বেশি বিদ্যুৎ বিল এসেছে। সচেতন মহল বলছেন, এ যেন গোদের ওপর বিষফোঁড়া। একদিকে করোনা সংকট মোকাবিলায় সরকার ঘোষিত লকডাউন বা সাধারণ ছুটিতে কর্মহীন ঘরবন্দি মানুষের আর্থিক ও খাদ্য সংকটে জীবন-জীবিকা নাভিশ্বাস। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ বিলে বিলম্ব মাসুল মওকুফসহ গ্রাহকদের ভোগান্তি কমাতে সরকারি নির্দেশনাকেও মানছেন না। গড়বিলের কথা বলে দ্বিগুন বা তিনগুন বেশি ভৌতিক বিলের বোঝা গ্রাহকের ঘাড়ে চাপিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃপক্ষ। সময়মতো বিল পরিশোধে ব্যর্থ হলেই লাইন বিচ্ছিন্ন করবে এবং পুনঃসংযোগ দেওয়ার সময় গ্রাহকের আর্থিক ক্ষতির সঙ্গে ভোগান্তিও রয়েছে। সীমাহীন এই ভোগান্তি ও আর্থিক ক্ষতির প্রতিকার চায় সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন মহলের কাছে। এমনও অভিযোগ এসেছে যে মিটার বিচ্ছিন্ন থাকার পরও গ্রাহকের ঘরে এসেছে বিদ্যুৎ বিল!
এছাড়া এসব ভুতুড়ে বিল সংশোধন করতে নবীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিসে এসেও হয়রানির শিকার হন গ্রাহকরা। ডিমান্ড চার্জের নামেও নেওয়া হয় অতিরিক্ত টাকা। গ্রাহকদের বছরের পর বছর মিটার ভাড়াও দেওয়া লাগে এমন অভিযোগের পাহাড় রয়েছে এ সমিতির বিরুদ্ধে।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।