শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:১০ অপরাহ্ন
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : সিলেটের এমসি কলেজে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ৬ ছাত্রলীগ নেতার পরিচয় পাওয়া গেছে। এর মাঝে একজন হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের বাগুনিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শাহ জাহাঙ্গীর মিয়ার পুত্র শাহ মাহবুবুর রহমান রনি।
যদিও দীর্ঘদিন কলেজে কমিটি না থাকায় সে সহ অন্যদের কোন পদ-পদবী নেই। কিন্ত কলেজের রাজনীতি এসব নেতারা সক্রিয় ছিলেন।
রনি শায়েস্তাগঞ্জ একাডেমী থেকে এসএসএসি পাশ করে শাবিপ্রবিতে ইন্টারমিডিয়েট, অর্নাস করে এমসি কলেজে স্নাতকোত্তর করছে। পড়ালেখায় মেধাবী হলেও ছোটবেলা থেকেই ছিল উগ্র মেজাজের। তার পিতা ও অন্য দুই ভাই সহজ সরল প্রকৃতির হলেও সে তাদের কিছুই পায়নি। এলাকায় এলে ছাত্রলীগের প্রভাব দেখাতো।
জানা গেছে, প্রতি মাসে লাখ টাকা বাড়ীতে দিত রনি। গত ঈদে রনি ৩০ হাজার টাকার পোষাক কিনে ফেসবুকে পোষ্ট দিয়েছিল। তার ঘরে এখনো ২৫ জোড়া জুতা রয়েছে দামি ব্যান্ডের। এ ছাড়া ছাত্রলীগ নেতা পরিচয়ে তার দাপট ছিল শায়েস্তাগঞ্জে। কিছুদিন আগে ২ লাখ টাকা দিয়ে মোটর সাইকেল কিনেছিল, যা দিয়ে সিলেটে যাওয়া আসা করত।
জনি ও সানি নামের দুই ভাইয়ের মাঝে সেই বড়। বাবা শাহ্ জাহাঙ্গীর বিভিন্ন মাজারপ্রেমি ছিলেন, ফলে নিয়মিত যাতায়াত করতেন। আর এ সুযোগ কাজে লাগায় রনি। সে সিলেট থেকে চাকুরীবিহীন মাসে মোটা অংকের টাকা বাড়ি দিত। দোকান পাঠ ও রাস্তাঘাটে অবৈধ টাকার গরম দেখাত।
শায়েস্তাগঞ্জ এর এক প্রভাবশালী আ’লীগ নেতার সাথে রয়েছে তার ঘনিষ্টতা। এলাকার কোন সভা সমাবেশে উপস্থাপক হিসেবে হাজির থাকত। সুন্দর বক্তব্য দিয়ে লোকজনদের আকৃষ্ট করত। পারিবারিকভাবে তার বাবা চাচাদের সাথে আশেপাশের কারও সাথে ঝগড়া বিবাদ লাগলে সে রামদাসহ দেশিয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করত। এ ছাড়া এলাকার মেয়েদের ইভিটিজিংয়ের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ঘটনার পর থেকে সেসহ অন্যরা পলাতক আছে। পুলিশ সে ও তার সহযোগীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ধর্ষিত তরুণী তার স্বামীকে নিয়ে সিলেটের এমসি কলেজের ঘুরতে আসেন। ঘুরার এক পর্যায়ে রাত ৮ টার দিকে তরুণীর স্বামী সিগারেট খাওয়ার জন্য এমসি কলেজের গেইটের বাইরে বের হন। এসময় কয়েকজন যুবক তরুণীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যেতে চান। এতে তরুণীর স্বামী প্রতিবাদ করলে তাকে মারধোর শুরু করেন ছাত্রলীগের কর্মীরা।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।